শাহানুজ্জামান টিটু: [২] ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। 

[৩] তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আমাদের কী চিন্তা, কী ভাবছি কী করছি- এসব বিষয়ে আলোচনা।

[৪] বৈঠকে  ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে, সরকার দমনপীড়ন করছে। বিএনপিকে নির্বাচনের নিতে বাধ্য করতে দলের গুরুত্বপূর্ণ  নেতাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

[৫] মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্য্যালয়ে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 

[৬] বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা অনেকবারই বলেছেন, বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান। সকলের অংশ গ্রহণমুলক নির্বাচন চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারই অ্যাডভান্স আলোচনার জন্যই মূলত আজকে তারা এসেছিলেন।

[৭] মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি বাংলাদেশে  বর্তমান রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি, এখানে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। 

[৮] প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে এখন কথা বলতে পারবো না। কারণ এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশে নির্বাচন পরিস্থিতি আছে কিনা।

[৯]  নির্বাচন প্রশ্নে প্রেসক্রিপশন সংক্রান্ত এক প্রশ্নে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কিসের প্রেসক্রিপশন? এখানে নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগ যে অবস্থা তৈরি করেছে, তাতে আর সম্ভব নয়। এটা প্রেসক্রিপশনের বিষয় নয় সংবিধানে আছে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সরকার নির্বাচন করবে। 

[১০] এর আগে সকালে ইইউ রাষ্ট্রদূত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেও নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব